আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া মারকাযুদ্ দ্বীন (বালক-বালিকা) মাদরাসা

পরিচিতি


পটভূমি:  তিতাস উপজেলার দ্বীনি হালাতের বেহালদশা তিতাসের আলিম ওলামাদের দীর্ঘ দিন যাবত ব্যথিত করে আসছিল। তারা করনীয় খুঁজে দিশেহারা হচ্ছিল। ২০০৬ইং সালে তিতাস উপজেলার জগতপুর-সাতানি ইউনিয়ানের একঝাক মুখলিছ আলেম ও তালিবুল ইলম এর সম্মিলিত উদ্দ্যোগে নয়াকান্দি, বারকাউনিয়া ও চরকুমারিয়ার সংযোগস্থলে “মারকাযুদ দ্বীন ইসলামী পাঠাগার” নামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত পাঠাগারকে কেন্দ্র করে আমাদের দ্বীনি তৎপরতা অব্যাহত থাকে। তারই অংশ হিসেবে ২০১২ইং সালে আরো কিছু দ্বীনি ভাইয়ের প্রত্যেক্ষ সহযোগিতায় তিতাস উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বাতাকান্দি বাজারে ভাড়া জায়গায় "মারকাযুদ্ দ্বীন ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসা” নামে একটি দ্বীনি খালেছ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এলাকার দ্বীনি তাকাজাকে সামনে রেখে ২০১৪ইং সালে মহিলা শাখা সংযুক্ত করা হয়। মাদরাসার মজলিশে শুরার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ বৎসর দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত মহিলা শাখাকে উন্নত করা হয় এবং মাদরাসার নাম পরিবর্তন করে “আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া মারকাযুদ দ্বীন” রাখা হয় এবং তিতাস উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন হোমনা রোডের পাশে কলাকান্দিতে আরো একটি শাখা খোলা হয়।


                            জামিয়ার অস্থায়ী ভবন

জামিয়ার লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্য : বহুবিধ লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্যে মারকাযুদ দ্বীন মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়, তন্মধ্যে বিশেষ কয়েকটি হলো :

 ১। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আক্বিদাহ বিশ্বাসের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার মাধ্যম্যে সর্বস্তরের মুসলমান এর আকিদাহ বিশ্বাস বিশুদ্ধকরণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা।

২। সাহাবায়ে কেরাম, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন ও সালফে সালেহীনদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে কুরআন সুন্নাহ চর্চার মাধ্যমে ইলমে দ্বীনের হিফজত করা।

৩। মুসলমান শিশু ‍কিশোরদের প্রয়োজনীয় ইলম শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে ইলমে দ্বীনের ব্যাপক খেদমতের আঞ্জাম দেয়া।

৪। সকল ভ্রান্ত মতবাদ, সমাজে প্রচলিত সর্ব প্রকার শিরক, বিদআত ও কুসংস্কারের মূলোৎপাটন করা এবং সমাজের সর্বস্তরে ইসলামের বিশুদ্ধ আক্বীদাহ বিশ্বাস ও সুন্নাতে নববীর প্রচার প্রসার ও বাস্তবায়ন করা।

৫। সর্বোপরী আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আক্বীদায় বিশ্বাসী এক জামাত সৎ, আদর্শবান, আল্লাহ ওয়ালা, মুত্তাকী, দেশপ্রেমিক ও উম্মতের কল্যাণকামী এক জামাত আলেম আলেমা তৈরি করা, যারা হবে দ্বীন ইসলামের অতন্দ্র প্রহরী, আকাবির ও সালাফের যোগ্য উত্তরসূরী এবং সুন্নাতে নববীর একান্তঅনুসারী। 

 

     জামিয়ার শিক্ষা বিভাগ:


মক্তব বিভাগ ঃ জামিয়ার উভয় শাখায় মুসলিম কোমলমতি শিশু ‍কিশোরদের জন্য পৃথক জায়গায় যোগ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকার মাধ্যম্যে অত্যান্ত আদর যত্নের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে জেনারেল শিক্ষার সকল বিষয়সহ কুরআনুল কারীম নূরাণি পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ ভাবে নাজেরা পড়ানো হয়। জরুরীমাসআলা মাসায়েল ও চল্লিশ হাদীস অর্থসহ মুখাস্থ করানো হয়।                                               হিফজুল কুরআন বিভাগ ঃ এই বিভাগে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে ছাত্রছাত্রীদের পূর্ণ কুরআন শরীফ তাজভীদসহ সহীহ শুদ্ধভাবে শিক্ষাদানের মাধ্যমে পরিপূর্ণ হাফেজে কুরআন হিসেবে গড়ে তোলা হয়।

কিতাব বিভাগ : এটি জামিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার বৃহত্তর ও প্রধান বিভাগ। এ বিভাগে একজন ছাত্রী তাকমীল তথা দাওরায়ে হাদীস সম্পূর্ণ করে একজন যুগোপযোগী আলেমা হতে পারে। 

জেনারাল শিক্ষা বিভাগ : কুরআন হাদীস শিক্ষার সাথে সাথে  ভাবে সম্পূর্ণ করে সরকারী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারে। উল্লেখ্য যে, তিতাস উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক সরকারী বৃত্তি আমাদের জামিয়া হতে। 

ভবিষ্যত পরিকল্পনা : জামিয়াকে স্থায়ী জায়গায় স্থানান্তর করে একটি আন্তর্জাতিক মানের জামিয়ায় রূপান্তর করা । যা অত্র এলাকার বহুবিদ দ্বীনি খিদমতের আঞ্জাম দিতে সক্ষম হবে।  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি